রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আরও বলেছেন, দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার, বাড়-বাড়ি তল্লাশি, আক্রমন, হামলা, হত্যা ও জখমের এক ভয়ানক সহিংস পরিবেশের মধ্যে চরম ভয়-ভীতির মধ্যে দিন যাপন করছে তারা। সেখানে নির্বাচন কমিশন কিসের প্রশাসনিক রদবদল করছে?

[৩] তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন ঘর ছাড়া, এলাকা ছাড়া, তখন কমিশন পৃথিবীর সর্ব যুগের নিকৃষ্টতম নির্বাচনের তামাশার আয়োজনের প্রতি জনগণের মোটেও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। যে নির্বাচনে ৬০টিরও বেশী রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না, সেই নির্বাচন নিয়ে এতো তোড়জোর করতে কিসের কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল?

[৪] রোববার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

[৫] বিএনপির এই মূখপাত্র বলেন, এখন আওয়ামী ঘরোয়া নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কথা মানে জনগণের সাথে কমিশনের ঠাট্টা করা। সমগ্র প্রক্রিয়াটি হাসি তামাশার নজিরবিহীন হাস্যরসোদ্দীপক নাটিকা। 

[৬] তিনি আরো বলেন, কাজী হাবিবুল কি জানেন না, তার এই তামাশার নির্বাচনকে নিশ্চিত করার জন্য সরকারের হানাদারী আক্রমনে সারাদেশে পালিয়ে বেড়ানো বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলগুলোর নেতানেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে নিরবিচ্ছিন হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে আতংক-উদ্বেগ শুধু বিএনপির পরিবারগুলোতেই নয়, সাধারণ ভোটাররাও অজানা আশংকায় রয়েছে। রাতের আধাঁরে মুখোশ কিংবা হেলমেট পড়ে এসব হামলায় জড়িতরা সরকারি বাহিনী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা।

[৭] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের প্রতিভু শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর আক্রমন হয়েছে বলে মায়া কান্না কাঁদছেন। অথচ সেদিনই পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলের আঘাতে রিক্সা থেকে পড়ে নিহত হন বিশিষ্ট সাংবাদিক রফিক ভুইয়া। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের মুখে চলতি বছরের ১১ মাসে ২৯৬ জন সাংবাদিক খুন, হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

[৮] রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩০ জনের অধীক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে, মামলা দায়ের করা হয়েছে ১০টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯৮৫ জনের অধীক নেতাকর্মীকে। আহত ৫০ জনের অধীক এবং মারা গেছেন ১ জন নেতাকর্মী। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না